কলকাতা 

Suvendu Adhikari: মোদীর বৈঠকে হাজির না থাকার জের জেলাশাসকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মোদি – শাহকে চিঠি দিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকা শনিবারের ভার্চুয়াল বৈঠকে এই রাজ্যের জেলাশাসকরা উপস্থিত ছিলেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেলাশাসকদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ রবিবার ২৩ শে জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম জয়ন্তীর এক কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘যাঁরা এই বৈঠকে গরহাজির ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আলাপনের বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ব্যবস্থা নিতে চিঠিতে আবেদন জানাব।’’ সূত্রের খবর, সোমবারই এই চিঠি দিতে পারেন শুভেন্দু।

প্রসঙ্গত, অবসরের ঠিক আগে আলাপনের কার্যকালের মেয়াদ সাময়িক বৃদ্ধি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু বর্ধিত সময়সীমা পর্যন্ত কাজ করেননি আলাপন। বরং নির্দিষ্ট দিনেই (৩১ মে, ২০২১) পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব পদ থেকে অবসর নেন তিনি। এর পর আলাপনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তুলে তদন্ত শুরু করেছিল কেন্দ্রের কর্মিবর্গ মন্ত্রক। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।

Advertisement

সম্প্রতি আইএএস এবং আইপিএস ক্যাডার বিধি সংশোধন করতে চেয়ে রাজ্যগুলিকে বার্তা পাঠিয়েছে কেন্দ্র। এমনকি, কেন্দ্র চাইলে সঙ্গে সঙ্গে ডেপুটেশন অথবা নির্ধারিত পদে যোগ দিতে অফিসারদের ছাড়ার কথা বলা হয়েছে রাজ্যকে। রাজ্য রাজি না হলে বিধির কড়া প্রয়োগের বার্তাও দিয়েছে কেন্দ্র। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই বক্তব্য, প্রস্তাবিত সংশোধিত বিধি কার্যকর হলে অফিসার-নিয়ন্ত্রণের পুরো রাশই কার্যত চলে যাবে কেন্দ্রের হাতে। তাই অফিসারদের দায়বদ্ধতাও অনেকাংশে কেন্দ্রের প্রতি থাকবে।

এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, ভার্চুয়াল বৈঠক করে প্রাধনমন্ত্রী অফিসারদের উপরে নিজের নিয়ন্ত্রণ দৃঢ় করার বার্তাই কি দিলেন? কারণ, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জেলাশাসকদের বৈঠক সাম্প্রতিক অতীতে অন্তত দেখা যায়নি।

কেন্দ্রের এই ধরনের আচারণে ক্ষুব্ধ রাজ্য সরকারও। তাদের মতে, এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। এমন আবহেই বাংলার বিরোধী দলনেতা চিঠি লিখতে চলেছেন মোদী-শাহকে।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ